কাঠালিয়া প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় ২নং পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজীদ খাঁনের ২য় স্ত্রী শেলিনা বেগম (৫০) এর ঘর লুটের অভিযোগ উঠেছে মজীদ খাঁনের প্রথম সংসারের ছেলে আলিম খান (৭০), শহিদ খাঁন (৫৫) সেলিম খান (৪৫), এবং আলিম খানের পুত্র রহিম খান (৩৫), রনি খাঁন ২০, ও শেলিম খাঁনের পুত্র পলাশ খান (২৫), সাগর খাঁন (১৮) সহ অনেকের উপরে।
শেলিনা বেগম জানান আমি শারীরিক অসুস্থতার কারনে ডাক্তার দেখিয়ে মেয়ের বাড়িতে যাই। মোটামুটি সুস্থ হবার পরে (১১ জুলাই ২০২২) সোমবার বাড়িতে এসে দেখি ঘরের দরজা ভাঙা, ঘরের ভিতেরে ডুকে দেখলাম আমার ঘরে কোন মালামাল নেই। ঘরে ২৫/৩০ মন চাল ছিলো, ট্রাংকের ভিতর ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণের দুটি রুলী ছিলো ট্রাংক সহ নিয়া গেছে। গ্যাসের চুলা, কারেন্টের বাল্প, জমির দলিল পত্র সহ প্লেট গ্লাস সব নিয়া গেছে।
আমার কোনো শত্রু নাই আমার স্বামী মারা যাবার পরে আমার স্বমীর ১ম সংসারের ছেলেরা আমাকে খুন করার জন্য মাথা কোপ দিছে, একাধিক বার মারতে চেয়েছে, তারাই আমার ঘর লুট করেছে।
শেলিনার মেয়ে শিরীন বলেন আমর সৎ-ভাইয়েরা আমার মা এবং ভাইদের উপর অনেক অত্যাচার করে। এই বাড়ি ছেরে যেন চলে যাই আমারা, একবার আমার মাকে হত্যা করার জন্য মাথায় কোপ দিছিলো সহিদ, এখন আবর ঘরের সবকিছু লুট করে নিয়া আমাদের নিস্ব করে দিলো।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদ বলেন আমি স্থানে নেই, এরা স্বরযন্ত্র করে আমাদের সম্মান নষ্ট করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ এনেছে, অভিযুক্ত বাকি সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি
তারাবুনিয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান বলেন, লুটের একটা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত কেন্দ্রে এসেছিলো তাদেরকে প্রয়োজন অনুযায়ী আইনি পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।